অনলাইন ডেস্ক:: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে লড়তে আগ্রহী লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল আলম।
তাকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদী। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়েও আশাবাদী।
জানা গেছে, রফিকুল আলম ২০১৩ সালে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর দলকে সুসংগঠিত করার প্রানবন্ত চেষ্টা করেন। তার চেষ্টায় অনেকটা সফলতাও এসেছে। সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়ন এক সময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও তার ঐক্যান্তিক প্রচেষ্টায় বিএনপি সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নে এখন কোনঠাসা। শুধুমাত্র সাধারন সম্পাদক রফিকুল আলমের কারণেই সেটা সম্ভব হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
সম্প্রতি তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১৯৮৬ সালে ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতির মাধ্যমে তার পথ চলা শুরু। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে ১৯৮৭ সালে লালমনিরহাট কলেজ ছাত্র সংসদের কলেজ শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। তার বাবা প্রয়াত রমজান আলী মাষ্টার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বাবার প্রচেষ্ঠায় সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তার বাবার প্রতিষ্ঠিত কলেজই তিনি প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে ওই কলেজে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। শুধু সাপ্টিবাড়ীতেই নয়, ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেব পুরো উপজেলায় রয়েছে তার খ্যাতি। বিবাহিত জীবনে তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদের পক্ষে কাজ করে দলকে সংগঠিত করে তুলেন এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারও নুরুজ্জামান আহমেদকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করার পেছনে তার অবদানও রয়েছে।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর হাত ধরে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে পুরো উপজেলায়। এবার পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় তার হাত ধরে এলাকায় আরও বেশী উন্নয়ন হবেন বলে আশাবাদী রফিকুল আলম।
যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম সোহাগ জানান, রফিকুল আলম গোটা উপজেলার একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি সুখে দুঃখে সব সময় সাধারন মানুষের পাশে থেকে সর্বাত্নক সহোযোগি করে আসছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে অনেকটা আশাবাদী বলে এ নেতা দাবী করেন।
সহকারী শিক্ষক মজিবর রহমান জানান ,তৃণমুলের নেতাকর্মীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে রফিকুল আলমের। তিনি বলেন, দলীয়ভাবে রফিকুল আলমকে মনোনয়ন দেয়া হলে নিশ্চিত ভাবেই তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
ইতিমধ্যে রফিকুল আলম উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনি বিভিন্ন এলাকায় চলছে উঠান বৈঠক। চলছে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও প্রচারনা। রফিকুল আলমের মতো আরও একাধিক প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী। তারাও ইতিমধ্যে প্রচারনায় নেমেছেন।