অনলাইনডেস্ক:: লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিএনপি'র ৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বড়বাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম মিঠু সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মাললায় লালমনিরহাট জেলা বিএনপি'র সভাপতি অধ্যাক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ ২৭ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বড়বাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম (৪০), আমজাদ হোসেন (৪৩) ও মিঠু মিয়া (৪৭)। সাজেদুল ইসলাম শিবরাম এলাকার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে, আমজাদ হোসেন খেদাবাগ এলাকার আনছার আলীর ছেলে ও মিঠু মিয়া সাদেকনগর এলাকার মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রায়হান আলী বলেন, অগ্নিসংযোগ, বিলবোর্ড সরিয়ে বিলবোর্ড স্থাপনের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এজাহারে নাম থাকা ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে বিলবোর্ড সরানো ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
![]() |
আওয়ামীলীগ নেতাদের পরিদর্শন |
মামলার বাদী আশরাফুল ইসলাম মিঠু বলেন, সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর নির্দেশে বিএনপির ক্যাডাররা শিমুলতলা বাজারে ত্রাস সৃষ্টি করলে লোকজন সরে যায়। এ সময় তারা শিমুলতলা বাজারের শিমুল গাছে টানানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত বিলবোর্ডটি সরিয়ে আসাদুল হাবিব দুলুর ছবিযুক্ত একটি বিলবোর্ড টানায়। এরপর আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়টি ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব ঘটনায় আসাদুল হাবিব দুলুসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখন বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যাক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভুয়া ও গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। আমাকে হয়রানি করতেই নিজেরা নিজেদের অফিসে আগুন লাগিয়ে এবং বিলবোর্ড সরিয়ে আমাকেসহ ২৭ জন বিএনপি'র নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা করেছে। এই ঘটনায় আমি গণমাধ্যমের ঠিক প্রতিবেদন আশা করি।